রমজানের শেষ ১০ দিনের ইবাদত এবং শবে কদরের সেরা দোয়া


আল্লাহর রাসূল শেষ দশ রাত্রিতে অন্য সময়ের চেয়ে অনেক বেশি পরিমাণে নিজেকে ইবাদতে মগ্ন রাখতেন। "(মুসলিম)। রমজানের শেষ ১০ দিনের  ইবাদতের গুরুত্বের একটি কারন হল লাইলাতুল কদর  পওয়া। বাংলাদেশে এ রাত শবে কদরের রাত নামে পরিচিত।

লাইলাতুল কদর সম্পর্কে  কুরআনে বর্ণিত হয়েছে, "এক হাজার মাসের চেয়ে উত্তম" (97: 3)। এই রাতে যে কোন আমল করা যেমন কুরআন তেলাওয়াত করা, সালাত আদায়, আল্লাহকে স্মরণ করা ইত্যাদি এক হাজার মাসের কর্মের চেয়ে উত্তম। তবে কোন একটি রাতকে সরাসরি লাইলাতুল কদর এর রাত বলা হয়নি। এটি একেবারে সুনির্দিষ্ট না থাকলেও হাদিসের আলোকে কোন রাতে লাইলাতুল কদর হতে পারে তার নির্দেশনা রয়েছে। এ প্রসঙ্গে হযরত আয়েশা (রাঃ) হতে বর্ণিত হাদিসটি হ’লঃ

হযরত আয়েশা (রাঃ) হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: রমজানের শেষ দশ রাতসমুহের  বিজোড় রাতসমুহে লাইলাতুল কদরের সন্ধান কর (বুখারি) ।

সে হিসেবে বিজোড় রাতসমুহ হ’ল ২১, ২৩, ২৫, ২৭, ২৯ শে রমজানের রাত্রি। উল্লিখ্য, আরবি মাসে রাত্রি আগে আসে তাই রমজানের শেষ ১০ দিনে ৫টি বিজোড় রাত পাওয়া যায়ঃ
(১) ২০শে রমজানের দিন শেষে যে রাত আসে তা হ’ল ২১শে রমজানের রাত্রি যা ১ম বিজোড় রাত
(২) ২২শে রমজানের দিন শেষে যে রাত আসে তা হ’ল ২৩শে রমজানের রাত্রি যা ২য় বিজোড় রাত
(৩) ২৪শে রমজানের দিন শেষে যে রাত আসে তা হ’ল ২৫শে রমজানের রাত্রি যা ৩য় বিজোড় রাত
(৪) ২৬শে রমজানের দিন শেষে যে রাত আসে তা হ’ল ২৭শে রমজানের রাত্রি যা ৪র্থ  বিজোড় রাত
(৫) ২৮শে রমজানের দিন শেষে যে রাত আসে তা হ’ল ২৯শে রমজানের রাত্রি যা ৫ম বিজোড় রাত

উল্লিখ্য, শুধুমাত্র ২৭শে রাতকে বেশি গুরুত্ব দিয়ে পালন করে অন্য বিজোড় রাতগুলো বাদ দিলে লাইলাতুল কদর না পাওয়ার আশঙ্কা থেকে যায়।  তাই রমজানের শেষ ১০ দিনের প্রতিটি বিজোড় রাতকেই (২১, ২৩, ২৫, ২৭, ২৯ ) সমান গুরুত্ব দিয়ে নিজেকে ইবাদতে মগ্ন রাখাই হবে বুদ্ধিমানের কাজ।

শবে কাদরের সেরা দোয়াঃ
আয়েশা (রাঃ) বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে জিজ্ঞাসা করলামঃ হে আল্লাহর রাসূল, যদি আমি  যদি কদরের রাত পেয়ে যাই তবে আমি কি করব? তিনি বললেনঃ তুমি বলবেঃ
আল্লাহুম্মা ইন্নাকা আফুয়্যুন তুহিববুল আফওয়া ফাফু 'আন্নি

অর্থঃ হে আল্লাহ, আপনি ক্ষমাশীল এবং আপনি ক্ষমা করতে ভালবাসেন, সুতরাং আমাকে ক্ষমা করুন।  (আহমদ, ইবনে মাজাহ এবং তিরমিযী)।

এখানে  রমজানের শেষ ১০ দিনের ইবাদতে আমরা কি কি করাতে পারি তার টিপস দেওয়া হ’লঃ
১। ইতিকাফ করাঃ
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রমজানের শেষ দশ দিন ও রাত ইতেকাফের জন্য মসজিদে কাটিয়েছিলেন।
২। বিশেষ দোয়া পাঠঃ
আল্লাহুম্মা ইন্নাকা আফুয়্যুন তুহিববুল আফওয়া ফাফু 'আন্নি

। ব্যক্তিগত দোয়ার তালিকা তৈরি করুনঃ

৪। নিজের মূল্যায়ন করুনঃ

৫। দীর্ঘ, আন্তরিক এবং গভীর দোয়া করুনঃ
এটি করার সর্বোত্তম সময়গুলির মধ্যে একটি হল রাতের শেষ অংশের সময়।

৬। কুরআন তিলাওয়াত সমাপ্ত হওয়ার পর দোয়া করুন


Post a Comment

0 Comments