- সবচেয় ছোট, সেরা ও সহজ ইস্তেগফার হলোঃ
আস্তাগফিরুল্লাহ
বাংলা অর্থঃ আমি
আল্লাহ্র নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করি।
প্রত্যেক নামাজের পর তিন বার 'আস্তাগফিরুল্লাহ' পাঠ করা
সুন্নত ।।
তওবা ও ইস্তিগফার
ইস্তিগফার
মানে হলো ক্ষমা প্রার্থনা করা। আল্লাহ হলেন ‘গাফির’ ক্ষমাকারী, ‘গফুর’ ক্ষমাশীল, ‘গফফার’
সর্বাধিক ক্ষমাকারী। ইস্তিগফার একটি স্বতন্ত্র ইবাদত; তওবা ও ইস্তিগফার আল্লাহ তাআলার
অতি পছন্দের একটি ইবাদত। তাই প্রিয় নবী হজরত
মুহাম্মদ (সা.) নিষ্পাপ হওয়া সত্ত্বেও প্রতিদিন ৭০ থেকে ১০০ বার তওবা ও ইস্তিগফার করতেন।
নামাজ প্রধান ও সর্বশ্রেষ্ঠ ইবাদত হওয়া সত্ত্বেও এই নামাজ আদায়ের
পর তিনবার ইস্তিগফার পড়া সুন্নত। অর্থাৎ ইস্তিগফার শুধু পাপের পরে নয়, ইবাদতের পরেও
করা হয়।
হযরত আবু সাইদ খুদরী রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত হয়েছে রাসূল সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি শয়নকালে ৩ বার উক্ত ইস্তিগফার
পাঠ করে, আল্লাহ্
তার গুনাহ্ মাফ করে দেন যদিও তা সমুদ্রের ফণরাশি বা বৃক্ষ্যের
পত্ররাজি বা টিলার বালুরাশি বা দুনিয়ার দিনগুলির সমসংখ্যক হয়। (জামে আত তিরমিযী)।
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আরও বলেছেন যে এরূপ বলে তার গুনাহসমূহ মার্জিত হয় যদিও সে
জিহাদ থেকে পালিয়ে যায়।
হযরত আবু সাইদ খুদরী রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত হয়েছে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি শয়নকালে ৩ বার উক্ত ইস্তিগফার পাঠ করে, আল্লাহ্ তার গুনাহ্ মাফ করে দেন যদিও তা সমুদ্রের ফণরাশি বা বৃক্ষ্যের পত্ররাজি বা টিলার বালুরাশি বা দুনিয়ার দিনগুলির সমসংখ্যক হয়। (জামে আত তিরমিযী)। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আরও বলেছেন যে এরূপ বলে তার গুনাহসমূহ মার্জিত হয় যদিও সে জিহাদ থেকে পালিয়ে যায়।
তওবা
তওবা অর্থ হলো ফিরে আসা। মানুষ যখন ভুল পথে যায় বা বিপথগামী হয়, তখন সেখান থেকে
সঠিক পথে বা ভালো পথে ফিরে আসাকে তওবা বলা হয়। তওবার পারিভাষিক অর্থ হলো লজ্জিত
হওয়া। অর্থাৎ স্বীয় কৃতকর্মে লজ্জিত হয়ে সঠিক পথে ফিরে আসা। তওবার জন্য করণীয় হলো,
স্বীয় কৃতকর্মের প্রতি লজ্জিত ও অনুতপ্ত হওয়া, সেই অপরাধ আর না করার দৃঢ় প্রত্যয় ও
সংকল্প গ্রহণ করা এবং নেক আমলের প্রতি বেশিমাত্রায় মনোযোগী হওয়া। তওবা সম্পর্কে
কোরআনে রয়েছে, ‘হে ইমানদারেরা, তোমরা আল্লাহর কাছে খাঁটি তওবা করো, আশা করা যায়
তোমাদের রব তোমাদের পাপসমূহ মোচন করবেন এবং তোমাদের এমন জান্নাতসমূহে প্রবেশ
করাবেন, যার তলদেশে ঝরনাসমূহ প্রবহমান।’ (সুরা-৬৬ তাহরিম, আয়াত: ৮)। “মহান আল্লাহ
তওবাকারী ও পবিত্রতা অর্জনকারীদের ভালবাসেন।” (সূরা আল বাকারা: ২২২)
রাসুলুল্লাহ
(সা.) বলেন, ‘হে মানব সকল! তোমরা আল্লাহর দিকে ফিরে আসো, নিশ্চয় আমি প্রতিদিন ১০০ বার
তওবা করি।’ (মুসলিম)। তিনি আরও বলেন, ‘সকল
আদম সন্তানই গুনাহগার, গুনাহগারদের মধ্যে শ্রেষ্ঠ হলো তওবাকারীরা। (তিরমিজি, ইবনে
মাজা, দারেমি)। তওবার সুফল সম্পর্কে রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘গুনাহ থেকে তওবাকারী,
বেগুনাহ ব্যক্তির মতো। (ইবনে মাজা, বায়হাকি)।
প্রথম প্রকার পাপ থেকে আল্লাহর কাছে
তাওবা ও ক্ষমা প্রার্থনা করার সাথে পাঁচটি শর্তের উপস্থিতি জরুরী। শর্ত পাঁচটি হল :
১। নিজ গুনাহের কথা আল্লাহ-এর নিকট স্বীকার করা
২। পাপ কাজটি পরিহার করা।
৩। কৃত পাপটিতে লিপ্ত হওয়ার কারণে
আন্তরিকভাবে অনুতপ্ত হওয়া।
৪। ভবিষ্যতে আর এ পাপ করব না বলে দৃঢ় সংকল্প গ্রহণ করা।
৪। ভবিষ্যতে আর এ পাপ করব না বলে দৃঢ় সংকল্প গ্রহণ করা।
৫। তওবা কবুল হওয়ার সময়সীমার মধ্যে
তওবা করা।
তওবা কবুল হওয়ার সময়সীমাঃ
অর্থাৎ তওবা করতে হবে মৃত্যু শুরু
হওয়ার পূর্বে(মৃত্যুর ফেরেশতা দেখার পূর্বে) এবং পশ্চিম দিক থেকে সূর্যোদয় শুরু
হওয়ার আগে। ( তিরমিযী: ৩৫৩৭, ইবনু
মাজাহ: ৪২৫৩)
তাওবা কিভাবে করতে হয় ?
অন্তরের
অন্তঃস্থল থেকে যে কোন সময়ই নিজের গুনাহের ফলে অনুশোচনায় ব্যথিত হওয়া যে, নিজের
উপর যুলুম করে ফেলেছেন, ভবিষ্যতে আর এই কাজ করবেন না ও মহান আল্লাহর আনুগত্যে অটল
থাকবেন এই অংগীকার নিয়ে মহান আল্লাহর কাছেই ক্ষমা চাওয়া দিয়েই তাওবা করা হয়ে যায়।
তওবা ও ইস্তিগফারের দোয়া
আস্তাগফিরুল্লা-হাল্লাযী লা ইলাহা ইল্লা হুয়াল হাইয়ুল কাইয়্যুম ওয়া আতুবু ইলাইহি।
অর্থ:
আমি আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাই, তিনি ব্যতীত কোনো মাবুদ নাই, তিনি চিরঞ্জীব ও চিরন্তন এবং এবং আমি তাঁর নিকট প্রত্যাবর্তনকারী।
এটি এভাবেও হাদিসে আসেছেঃ আস্তাগফিরূল্লাহিল
আযীমিল্লাযী লা
ইলাহা ইল্লা হুয়াল হায়্যুল কাইয়্যুম ওয়া আতুবু ইলাইহি ( অর্থ : আমি
আল্লাহর নিকট ক্ষমা প্রার্থণা করছি যিনি ছাড়া আর কেউ উপাস্য নেই। তিনি
চিরঞ্জীব চিরস্থায়ী এবং আমি তাঁর নিকট প্রত্যাবর্তনকারী।)
(তিরমিজি,
আবু দাউদ)
অথবা
আস্তাগফিরুল্লাহা রাব্বি মিন কুল্লি জাম্বিওঁ
ওয়া আতুবু ইলাইহি, লা
হাওলা ওয়া লা কুওয়্যাতা ইল্লা বিল্লাহিল আলিয়্যিল আজিম।
অর্থ: আমি আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাই আমার সব পাপের, আমি তাঁর কাছে ফিরে আসি। আল্লাহর সাহায্য ছাড়া গুনাহ থেকে বাঁচার ও নেক কাজ করার কোনোই শক্তি নেই।
(মুসলিম
ও তিরমিজি)।
- ইস্তেগফারের সর্বোত্তম দোয়া হলো সাইয়্যেদুল ইস্তেগফার
“Astaghfirullah”
(I seek forgiveness from Allah)
Astaghfirullah is the most popular, short &
easily memorizable istighfar dua for
forgiveness of major sins.
In a hadith narrated by Thauban, the Prophet (saw) would say
“astaghfirullah” three times immediately after concluding any Salah. When he
(saw) was then asked by his Companions on how we Muslims should seek
forgiveness, He (saw) said: “I say: Astaghfirullah, Astaghfirullah.”
- The below is another prayer for seeking forgiveness that has been quoted directly from the Prophet.
Astaghfirulla hal
laji la ilaha illa Huwal-Haiyul-Qayyumu wa atubu ilaihi
(I seek the forgiveness of Allah, there is no true
god except Allah, the Ever-Living, the Self- Subsisting, and I turn to Him in
repentance)
According to a narration by Ibn Mas’ud, The Messenger of Allah
(saw) said, “He who says: ‘Astaghfir ullah-alladhi la ilaha illa
Huwal-Haiyul-Qayyumu, wa atubu ilaihi ’’ his sins will be forgiven even if he should
have run away from the battlefield (while he was engaged in fighting for the
Cause of Allah).”
0 Comments